শামীম আহমেদ | অনলাইন ডেস্ক |
কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরে অবস্থিত জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার শিকার হয় এক বছরের শিশু ছেলে আলভী। শিশু আলভী ভৈরব উপজেলার মানিকদী গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী মানিক মিয়ার ছেলে।
জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ শাহ আলম সরকার ওই শিশুর অপচিকিৎসা করে পুরো পরিবারকে আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেন বলে অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় বুধবার দুপুরের ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদী গ্রামে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী লোকজন। মানববন্ধন শেষে তারা সংবাদ সম্মেলনও করেন।
সংবাদ সম্মেলন ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী শিশু আলভীর পিতা মুদি ব্যবসায়ী মানিক মিয়া। তিনি বলেন, তার এক বছরের শিশু সন্তান আলভীর একটি হাত গরম পানিতে পুড়ে যাওয়ায় গত ১২ মার্চ চিকিৎসার জন্য ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। ভর্তির দুইদিন পর চিকিৎসক হাত ব্যন্ডেজ করে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসকের কাছে ভুল চিকিৎসার বিষয়টি ধরা পড়লে শিশু আলভীর পরিবারকে জানান পোড়ার রোগীর হাতে অস্ত্রপাচার করে মাংস ফেলে দিলে গর্তে সৃষ্টি করে। এতে শিশুর হাত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘ একমাস চিকিৎসা শেষে পোড়া হাতের উন্নতি হয়।
তিনি জানান, জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ শাহ আলম সরকার শিশুর অপচিকিৎসা করে পুরো পরিবারকে আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেন। তাই ওই চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এসময় চিকিৎসকের বিচার চেয়ে আরো বক্তব্য রাখেন গজারিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার গোলাপ, শিশু আলভীর চাচা কাজল মিয়া, পল্লী চিকিৎসক আবুল বাসার, দন্তচিকিৎসক প্রশান্ত রাজ প্রমুখ।