অনলাইন ডেস্ক :
বিগত কয়েকদিন ধরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এক বিশালদেহী হাতি। এই হাতি যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, সেই রাস্তাতেই চলছে হাতির সুর উঁচিয়ে রাস্তা আটকিয়ে টাকার তুলার অভিনব চাঁদাবাজি। কেউ কেউ হাতি দেখে খুশি হয়ে চাঁদা দিলেও, অধিকাংশ পথচারীরা ভয়েই টাকা দিচ্ছে হাতিটিকে।
এছাড়া সেই হাতির পিঠে আবার ভাব নিয়ে বসে থাকেন হাতির মাহুত। আর এই মাহুতের নির্দেশেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যাচ্ছে হাতিটি এবং এক রাস্তা থেকে অন্য রাস্তায় গিয়ে তারপর শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে দোকানির কাছে কিংবা পথচারীর পথরোধ করে কিংবা যানবাহনের পথ আটক করে শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি।
কেউ টাকা না দিলে হাতির অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে উল্টো ভয় দেখাচ্ছে মাহুত। এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে চলছে দিনেদুপুরে চাঁদাবাজি। এতে করে স্থানীয় অনেকেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভৈরবের বাসস্ট্যান্ড থেকে মরামারের রেলওয়ে ব্রীজের রাস্তায় মাঝে মাঝে দেখা যাচ্ছে ঐ বিশালদেহী হাতিটিকে। সকাল দুপুর বিকালে উক্ত রাস্তা’সহ বিভিন্ন স্থানে হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন হাতির মাহুত। নূন্যতম ১০ টাকা থেকে শুরু করে অবস্থা অনুযায়ী জনপ্রতি যার কাছ থেকে যত পারছে তত টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। জানা যায়, সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায় এই মাহুতকে।
হাতি দিয়ে চাঁদা তুলার বিষয়ে কেউ কোন কথা না বললেও পথচারীরা ভীত হচ্ছেন এবং বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছে। এই বিষয়ে এক পথচারী জানান, হাতি দিয়ে টাকা তুলা একটি অভিনব পন্থায় চাঁদাবাজি। এ বিষয়ে ঐ পথচারী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।