শামীম আহমেদ | অনলাইন ডেস্ক |
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জমি সংস্ক্রান্ত বিরোধের জেরে নজরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হয়রানী ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফাসাঁনোর অভিযোগ উঠেছে পৌর এলাকার লক্ষীপুর তাতাঁর কান্দি গ্রামের প্রতিবেশী শামসুন্নাহার লাভলী, মহিউদ্দিন ও সুজাতা বেগমের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকালে ভোক্তভোগী নজরুল ইসলাম ভৈরব মিডিয়া অফিসে সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৩ মাস আগে তাতারকান্দি গ্রামের নাফিজা সিদ্দিকার কাছ থেকে স্থাপনাসহ ২ শতাংশের (যাহার পুরাতন দাগ নং ৬৫২৭ এবং নতুন দাগ নং ১৩২৮ মৌজা লক্ষীপুর খতিয়ান ৪৫৭) উপর ১৬ লাখ টাকা দিয়ে তিনি জমি ক্রয় করেছেন। জমি কিনার পর থেকে শামসুন্নাহার লাভলী নানাভাবে হয়রানী ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফাসাঁনোর জন্য চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয় তারা নানাভাবে আমাদেরকে অত্যাচার নির্যাতন করছে। এমনকি শামসুন্নাহার লাভলী গত ৩০শে অক্টোবর দুপুর পৌনে ২ টার দিকে আমার বসত ঘরে ঢুকে দরজা আটকিয়ে বিবস্ত্র হয়ে পড়ে। পরে আমার ডাকচিৎকারে পাশ্ববর্তী সালমা বেগম, রুমেলা খাতুন ও আমার স্ত্রী সালমা বেগমসহ স্থানীয়রা এসে তাকে পুলিশের সহায়তায় ঘর থেকে বের করে।
এ বিষয়ে আমি ভৈরব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এ বিষযে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আলমগীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে নজরুল ইসলামের বসত ঘরের ভিতরে সিটকারী খুলে শামসুন্নাহার লাভলীকে ঘর থেকে বের করে দেয়। লাভলী আসলে নজরুল ইসলাম’কে ফাসাঁতে চেয়েছিলো।
এ বিষযে জানতে শামসুন্নাহার লাভলীর ব্যবহৃত ০১৭৫৭-৭১৮৩৯৪ নাম্বরে একাধিকবার ফোন দিলে তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।